আবারো একটি স্ট্যাম্প বাংলাদেশের পাসপোর্টে। ১৩৩তম দেশ তানজানিয়ায়। আকাশে উড়ালাম লাল সবুজের হৃদয় ছোঁয়া বাংলাদেশের পতাকা। 

আফ্রিকার নীল সমুদ্রের এই দেশ অসম্ভব চমৎকার শিল্পসাহিত্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। তানজানিয়ার প্রাক্তন রাজধানী দারুস সালামে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে এসে পৌঁছাই। অনলাইনে আগে থেকেই তানজানিয়ায় ভিসা নিয়ে রেখেছিলাম। এজন্য তেমন একটি বেগ পেতে হয়নি। সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ৫০ ডলার এবং ডাবল এন্ট্রি ১০০ ডলার, সঙ্গে তিন মাসের ভিসা। 

তানজানিয়া অনেক চমৎকার একটি দেশ। এর মানুষ অনেক সাহায্যকারী এবং আন্তরিক। আগে থেকেই কাওসারফিং এ যোগাযোগ করায় আমার হোস্ট এয়ারপোর্ট থেকে আমাকে তুলে নিয়ে আসেন এবং দারুস সালামের সৌন্দর্য দেখান। সমুদ্রের পাড়ে বসে সমুদ্র দেখতে দেখতে খেতে খুবই ভালো লাগছে। 

চমৎকার মিষ্টি আলুর মত খেতে খাবারটা আসলে কী? তা আমি বলতে পারবো না। ভালোই লেগেছে খেতে। পরে অবশ্য বিফ গ্রিল খেয়েছি অনেকদিন পর। 

সমুদ্রের পাশে বসতে বসতেই এক লোক এসে জিজ্ঞেস করল- পেডিকিউর ম্যানিকিউর করব কিনা? তো আনন্দে আমি আমার পেডিকিউর, ম্যানিকিউর সেরে নিলাম গল্প করতে করতে।

খুবই মন খারাপ একদিন মাত্র থাকবো দারুস সালামে। তারপর চলে যাব নীল সমুদ্রের আফ্রিকার জাঞ্জিবার ল্যান্ডে। ওখানে ৫ দিনের মতো থাকবো। সেখান থেকে নীল সমুদ্র দেখে যাবো ক্লাইমেন্টজারু পর্বতমালায়, হ্যাকিং এর ইচ্ছা আছে।

সবুজ পাসপোর্টের ১৩৩তম দেশের পদচারণা হয়ে উঠুক লাল সবুজের পতাকার সাথে নীল নীল সমুদ্রের আর সাদা নীল  আকাশের রঙিন উদযাপন।

এএ