বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১৩৫তম দেশ ভ্রমণ করার মাইলফলক অর্জন করেছেন কাজী আসমা আজমেরী। এবার তিনি গেছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়।

গত ১৩ অক্টোবর ভোর রাতে তিনি উগান্ডায় পৌঁছেছেন। সেখানের আসিয়াসা ভিলা নামের একটি গেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয় বাংলাদেশি সোলো ট্রাভেলার গ্রুপের সদস্য রাকিব আহাদ ও তার কলিগের সঙ্গে। বিশ্ব ভ্রমণের এ অসাধারণ জয়ে বাংলাদেশি ট্রাভেলারদের পেয়ে বেশ আনন্দিত তিনি।

চাকরির টাকা জমিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে থেকে এ উদ্দেশ্যে আফ্রিকায় পাড়ি জামান। এ পর্যন্ত নতুন পাঁচটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। মরিশাস, রিইউনিয়ন, তানজানিয়া, কেনিয়া ও উগান্ডা। কখনো নীলসমুদ্র, ঐতিহ্যবাহী  শহর ও পাহাড় পর্বত থেকে শুরু করে বনে জঙ্গলে, আদি গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘুমিয়েছেন কিংবা আধুনিক শহরে ভ্রমণ করেছেন।

১৩৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্টে সিল মার কেনিয়ান বর্ডারে বুশিয়া শহরে। এখানে মূলত ইস্ট আফ্রিকা ভিসা দেওয়া হয়। ১১০ ডলারের এই ভিসা ব্যবহার করে কেনিয়া, উগান্ডা ও রওন্ডাতে যাওয়া যায়।

কাজী আসমা আজমেরী কেনিয়ার কয়েকটি স্কুল কলেজে সেশন নেন। পাশাপাশি রোটারি ক্লাবের কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।কেনিয়াতে দুই দিন থাকার পরে ১৩৫তম দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

পরে উগান্ডার জিনজা শহরে নীল নদের উৎপত্তি দর্শন করেন। ইকুয়েডর দেখতে যান।

আসমা আজমেরী বলেন, বর্তমানে আমি কাবালা লেকে আছি। এখানকার সৌন্দর্য আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক দুর্বল উগান্ডা। দারিদ্র্য-সীমার নিচে, অধিকাংশ মানুষই একবেলা খেয়ে থাকে। 

তিনি আরও বলেন, এদের দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে। ছোট বড় বাচ্চাগুলো অনেক মজা করে খেতে দেখে অনেক আনন্দই লাগে। এখানকার জনসংখ্যার  ৬০ শতাংশই ১৫ বছরের নিচে। নারীরা খেতে খামারে কাজ করেন বাচ্চা কাঁধে নিয়ে। রাস্তায় কাদামাখা ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে দেখা যায়।

আজমেরী বলেন, যারা নিয়মিত আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি ভ্রমণের জন্য এতো টাকা কীভাবে পাই? তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। যার পুরোটাই আমার নিজের চাকরির করে জমানো।

এদিকে আসমা আজমেরী এই ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মোটিভেটেড স্পিকার হিসেবে মরিশাস, কেনিয়া ও উগান্ডার বিভিন্ন স্কুলে কথা বলেন। তিনি বলেন, ইচ্ছা আছে পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে বেড়ানো। পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় ছেলেমেয়েদের তার ভ্রমণ গল্প শোনাতে চাই।