করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ মানুষ ঘরবন্দী। অন্যরকম পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে সবাই। বিশেষ করে যারা ভ্রমণপ্রিয়, তাদের অবস্থা আরও খারাপ। সবাই অপেক্ষা করছেন অনুকূল পরিস্থিতির জন্য। কেউ কেউ আবার এখনই ঘোরাঘুরির ছক আকঁছেন-

যুক্তরাষ্ট্রের মেমোরিয়াল দিবসেও অনেকের ভ্রমণের পরিকল্পনার কথা উঠে এসেছে আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষায়। তাদের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের তুলনায় চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাংশ বেশি মানুষ ভ্রমণ করবেন। পরিসংখ্যানটি চলতি বছরের শুরুর দিকে করা হয়। ২০২১ সালে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছেন ২৬ থেকে ৪১ বছর বয়সী মানুষ। 

এ ব্যাপারে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩৫ শতাংশ নাগরিক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সে কারণে বর্তমানে প্লেন, জাহাজ ও গাড়িতে ভ্রমণ শুরু হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ট্র্যাভেল এজেন্ট বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে প্লেন ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রিপ অ্যাডভাইজার এলিজাবেথ মনোহান বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের সমীক্ষায় দেখা গেছে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।’ 

আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র জ্যানেট ম্যাকগি বলেন, ‘এবার মেমোরিয়াল দিবসে গত বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটি ৭০ লাখ মানুষ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন সেটি আমাদের কাছে আনন্দদায়ক।’ 

আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিক দেশের মধ্যে সমুদ্রসৈকত ও জাতীয় উদ্যানকে বেছে নিচ্ছেন। যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে গাড়ি। 

আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র জ্যানেট ম্যাকগি আরও বলেন, ‘এখন অবধি মানুষ গাড়িতে করে ভ্রমণ করতে চাইছেন।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনা মহামারি শুরু হলে বিশ্বব্যাপী লকডাউন আরোপ করা হয়। অন্য সব দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও লকডাউন আরোপ করা হয়। ফলে অনেকে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন। কিন্তু পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ শুরু করেন পর্যটকরা। গ্লোবাল পাবলিক রিলেশনস ভার্টুওসোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস্টি বেলস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন আমরা অনেক পর্যটককে ভ্রমণ করতে দেখছি। অনেকে স-পরিবারে ভ্রমণ করছেন।’

এইচএকে/আরআর/এএ