দেশি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি এমডিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

বিদেশি বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান রাকিন ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফাদি বিতার (লেবানিজ বংশোদ্ভূত সুইজারল্যান্ডের নাগরিক) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া তাসনীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাদি বিতার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান। নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার কারণে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৮১তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তক্রমে এস এ কে একরামুজ্জামানকে সরিয়ে আমাকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমি দায়িত্ব নিয়ে দেখতে পাই আগের এমডি একরামুজ্জামান কোম্পানির প্রচুর পরিমাণ অর্থ নিয়ম বহির্ভূতভাবে খরচ করেছেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে সরকারি ইনজেকশন রোগীর কাছে বিক্রি করে দিলেন নার্স
এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় একরামুজ্জামানের নেতৃত্বে রাশেদুল আলম, আরিফুর রহমান তপন, আবদুল্লাহ কায়সার ও সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনের বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কোম্পানির রাজধানীর মিরপুরের কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া তাসনীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, অভিযোগ ফাদি বিতারের।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমাকে ও সুমাইয়া তাসনীনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি বেআইনি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবে আমি ও একজন নারী হিসেবে সুমাইয়া তাসনীন এবং তাদের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া তাসনীন বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, যথাযথ বিচার, আইনি সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি। পাশাপাশি আমি প্রতিষ্ঠানের বেদখল হওয়া অফিস পুনরুদ্ধারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন।
এসএইচআর/এসএসএইচ