ফাঁকা সড়কে রিকশার রাজত্ব, যাত্রী না পাওয়ার আক্ষেপ
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কে। বাস না চলায় সড়কে রাজত্ব চলছে রিকশা-সিএনজির। তবে মানুষ কম থাকায় যাত্রী পাচ্ছেন না বলে আক্ষেপ অনেক চালকের।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে ১১ পর্যন্ত ফার্মগেট, পান্থপথ, কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহন কম। কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল চলছে। তবে ফাঁকা সড়কে চলছে রিকশার দাপট।
মনু মিয়া নামে এক রিকশাচালক বলেন, রাস্তায় যাত্রী নাই। তিন ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষার পর চারজন কাস্টমার পাইছি। তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে মাত্র ২০০ টাকা ইনকাম করেছি।
আরও পড়ুন
আরেক রিকশা চালক ইদ্রিস বলেন, ফাঁকা সড়ক। বাস চলছে না। এখন তো আমাদের রাজত্ব। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাস্তায় মানুষও নাই ভাড়াও নাই। মানুষের চাইতে রাস্তায় রিকশা বেশি। একজন যাত্রী পাইলে সবাই কাড়াকাড়ি করে।
অন্যদিকে সড়কে যাত্রী কম থাকায় রিকশা চালকরা যেমন খুশি নন, তেমনি জীবিকার তাগিদে বের হওয়া অনেক মানুষের কাছে চালকরা বেশি ভাড়া দাবি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহাখালী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ইয়াকুব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখন অফিসে যাওয়া তো ঠিক না। কিন্তু কিছুই করার নাই, অফিস খোলা। রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি বাস পাচ্ছি না। কয়েকটা রিকশা চালকের সঙ্গে কথা বললাম, ভাড়া অনেক বেশি চাইছে।
গণপরিবহনের অপেক্ষায় লোকজনকে বিভিন্ন স্টপেজে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে রিকশায় ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা করেন। আবার অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে অফিসগামী জেসমিনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে একটি দোকানে কাজ করি। এ পর্যন্ত পৌঁছাতে খবর হয়ে গেছে। কিছু রাস্তা হাঁটলাম, আবার কিছুটা পথ রিকশায় করে আসলাম।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার অংশ হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। অন্যদিকে ক্ষমতানীন আওয়ামী লীগও ঢাকাসহ সব মহানগরে জমায়েতের পাশাপাশি সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এনআই/এমএ