‘বেঁচে নেই, জীবিত আছি’

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যেসব চিন্তকদের জন্ম হয়েছে যতীন সরকার তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে আগামী প্রজন্মের জন্য পথ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বাতিঘর হয়ে উঠেছেন।
যতীন সরকার গোটা কর্মজীবন ধরেই মার্কসীয় মতাদর্শ অবলোকন করে চলেছেন। তিনি যা কিছু করেছেন তার মধ্যে নিরন্তর সমাজ পরিবর্তনের ভাবনা গ্রথিত। নিজের সাহিত্যকর্মে তিনি যেমন এই ভাবনা ছড়িয়ে দিয়েছেন তেমনি অন্যদের লেখার মধ্যেও তিনি তা অনুসন্ধান করেছেন।
বাংলার লোকসংস্কৃতি তিনি অবলোকন করেছেন গভীর শ্রদ্ধার সাথে। এরমধ্যে তিনি খুঁজে পেয়েছেন সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, বিরহ-মিলনের প্রতিচ্ছবি। খুঁজে পেয়েছেন তাদের জীবন ভাবনার ইতিবাচক দিক। যে কারণে লোকসংস্কৃতির প্রতি তার একটা আলাদা টান অনুভব করতে দেখেছি। বিশ্লেষণ করতে দেখেছি লোকসংস্কৃতির খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ।
তিনি অবশ্য শুধু লোকসংস্কৃতির বিশ্লেষণেই ক্ষান্ত থাকেননি। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির নানা দিক নিয়েও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। তার লেখা ও কথাবলায় থাকে তারই প্রতিচ্ছবি ও অকাট্য যুক্তি। তার ‘রাজনীতি ও দুর্নীতি বিষয়ক কথাবার্তা’ নামক বইয়ের ‘সব সত্য কথাই হক কথা নয়’ প্রবন্ধে দেখেছি ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে বিষয়াবলীর যুক্তিগ্রাহ্য উপস্থাপন।
তিনি প্রবন্ধের এক জায়গায় বলছেন, ‘নিরেট সত্য কথা হয়েও যদি সেটি নিরপরাধ মানুষের জন্য অকল্যাণ বা অমঙ্গল বলে আনে, তবে সেটি হক কথা হবে না। যে কথা মানুষের জন্য কল্যাণকর, সেকথা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বা আক্ষরিক অর্থে অসত্য কথাও হয় তবু তা সত্যের মূল মর্ম ধারণ করে বিধায় তা হক কথা।’
এ প্রবন্ধের আরেক অংশে তিনি বলেছেন, ‘সত্য কথা বলা যত সহজ, হক কথা বলা তত সহজ নয়। কোনোরূপ বিচার বিবেচনা ছাড়াই সত্য কথা বলে ফেলা যায়। কিন্তু হক কথা বলতে হলে বিচারবুদ্ধিকে সদা জাগ্রত রাখতে হয়। আপাত সত্যের সঙ্গে প্রকৃত সত্যের পার্থক্যটি স্পষ্ট করে বুঝে নিতে হয়, মানুষের হক কথা বা মানবাধিকারের শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করার ক্ষমতা থাকতে হয়। দায়িত্বহীন ব্যক্তিও সত্য কথা বলে ফেলতে পারেন। আর হক কথা বলতে পারেন কেবল দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাই।’ আমার মনে হয়, এ কথাগুলোই যতীন সরকারকে পরিচিত করানোর জন্য যথার্থ।
যতীন সরকারের সাথে আমার পরিচয় তার লেখার মাধ্যমে। সম্ভবত ১৯৯৩ সাল। তখন সবেমাত্র বিভিন্ন ঘটনাচক্রে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘোষিত হয়। সাম্রাজ্যবাদীদের উল্লাসধ্বনিতে মুখরিত গোটা বিশ্ব। সেই উন্মত্ত পৃথিবীর অন্তরালে সোভিয়েতের জনগণের যে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে থাকে তা তিনি তুলে ধরেন সে সময়ের বহুল প্রচারিত পত্রিকা ‘আজকের কাগজে’। সেখানে তিনি লিখেন—‘সর্বং হন্তি বুবুক্ষতা’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ।
বাংলার লোকসংস্কৃতি তিনি অবলোকন করেছেন গভীর শ্রদ্ধার সাথে। এরমধ্যে তিনি খুঁজে পেয়েছেন সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, বিরহ-মিলনের প্রতিচ্ছবি। খুঁজে পেয়েছেন তাদের জীবন ভাবনার ইতিবাচক দিক। যে কারণে লোকসংস্কৃতির প্রতি তার একটা আলাদা টান অনুভব করতে দেখেছি। বিশ্লেষণ করতে দেখেছি লোকসংস্কৃতির খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ।
প্রবন্ধটি তিনি শুরু করেছিলেন এভাবে যে, ‘যদি কোথাও দর্শনের আলোচনা হতে থাকে, সেখানে যদি কাব্য চর্চা শুরু হয়ে যায় তাহলে দর্শনের আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। কাব্যেন দর্শনাং হন্তি—কাব্য দর্শনকে হত্যা করে। আবার যদি কোথাও কাব্য চর্চা হতে থাকে সেখানে সংগীত চর্চা শুরু করলে কাব্য চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ কাব্য অপেক্ষা সংগীত আরও বেশি চিত্তাকর্ষক আবার কোথাও যদি সংগীত চর্চা হতে থাকে সেখানে নারী বিলাসের আকর্ষণ চলে আসে তাহলে সংগীত চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ সংগীত অপেক্ষা নারী বিলাসে আকর্ষণ আরও বেশি প্রকট। আবার দর্শন, কাব্য, সংগীত, নারী বিলাসের আকর্ষণ শিকেয় ওঠে যদি পেটে ভাত না থাকে। সর্বং হন্তি বুবুক্ষতা। ক্ষুধা সবকিছুকেই হত্যা করে।’
তার পরপর তিনি বলেছেন, সোভিয়েত সরকার সেখানকার জনগণকে ভালো মডেলের একটা ঘড়ি কিংবা ভালোমানের রঙিন পানীয়র ব্যবস্থা হয়তো করতে পারেননি। কিন্তু ইতিপূর্বে এক টুকরো বিড়ালের মাংসের জন্য সেখানকার জনগণকে কামড়াকামড়ি করতে দেখিনি। যা এখন সেখানে বর্তমান।
কী অসাধারণভাবে গল্প-কথায়, উদাহরণে সে সময়ের গোটা সোভিয়েতের চিত্র আমাদের সামনে হাজির করেছিলেন। তাঁর সেদিনের সেই লেখনীই পরবর্তী সময়ে তার প্রতি আমাকে আকৃষ্ট করে তোলে।
উদীচীর প্রয়োজনে বহুবার যতীনদা’র কাছে লেখা চেয়েছি তখনই তার প্রথম প্রশ্ন থাকত— ‘লেখাটা কখন দিতে হবে?’ যদি কখনো দ্রুততম সময়ে কোনো লেখা চেয়েছি সাথে সাথেই বলে উঠতেন—‘ও অমিত, আমি তো কষ্ট লেখক। এত তাড়াতাড়ি লেখা দিতে পারব না।’
এই কষ্ট লেখক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘দ্যাখ আমি জানি আমাকে লেখালেখির মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। আমাকে লিখতেই হবে। আমি এও জানি আমি কবি কিংবা কথাসাহিত্যিক হতে পারব না। সুতরাং, আমাকে প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে হবে। তার জন্য আমাকে পড়াশুনো করতে হবে এবং তারপর লিখতে হবে।’
আরও পড়ুন
এই জন্যই তিনি নিজেকে কষ্ট লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। শিক্ষকতার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সরাসরি জড়িত হয়ে তাদের সাংগঠনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমেও তিনি এই ভূমিকা পালন করেছেন। যতীন সরকার মানুষের চিন্তার মুক্তিতে শুধু লিখে লড়াই করেননি। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ শিক্ষক।
যদিও তার সরাসরি ছাত্র হওয়ার সুযোগ আমার হয়নি, তবে তার বক্তব্য শোনার বা সাংগঠনিক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। সেখানে দেখেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে তিনি বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন। আর সম্মুখে উপবিষ্টরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কথা শুনছেন। এ প্রসঙ্গে ১৯৯৯ সালের একটি প্রশিক্ষণের কথা এখানে উদ্ধৃত করা যেতে পারে।
১৯৯৯ সালে যশোরে অনুষ্ঠিত উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন হয়। সে সম্মেলনের শেষদিনে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন সংস্কৃতিকর্মীর মৃত্যু হয় এবং দুই শতাধিক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। উদীচীর শিল্পী-কর্মী-সংগঠকদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। এ সময়ে প্রয়োজন হয়ে পড়ে সাংগঠনিক দৃঢ়তা। প্রয়োজন হয় মেধা ও মননে চৌকস নেতৃত্বের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজন করে দিনব্যাপী সাংগঠনিক প্রশিক্ষণের। সেখানে উদীচীর তৎকালীন সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম থেকে শুরু করে সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটিও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছিলেন। প্রশিক্ষক একমাত্র যতীন সরকার। হাসান ভাই যতীন দাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘দাদা একা-একা সারাদিন পারবেন তো?’ সাথে সাথে অট্টহাস্যে বলে উঠলেন, ‘সারাজীবন এই একটা জিনিসই তো শিখেছি- তা হলো মাস্টারি। চালায় নিমুনে।’
সত্যিই চালায় নিলেন। সারাদিন একটা মানুষ কথা বললেন আর আমরা তার কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনলাম। কোথাও পিন পতনের শব্দ নেই। কিন্তু কেন? কেন সবাই তার কথা এভাবে শুনছিল? সেক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণেরই একটি বিষয় এখানে প্রাসঙ্গিক হবে।
তিনি সংস্কৃতি ও প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে বলেছেন—একটি বোকাসোকা টাইপের ছেলে বিয়ের পর প্রথম যখন শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে তখন তার মা তাকে বলে দিচ্ছেন—‘দেখ বাবা, নতুন শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ঠিকঠাক কথাবার্তা বলিও।’ ছেলেটাও শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মায়ের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করছে। এক বিকেলে শ্বশুরের সাথে নদীর ধারে বেড়াতে গেল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনো কথা হচ্ছে না—হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। সে শ্বশুরকে জিজ্ঞেস করছে, ‘আচ্ছা বাবা এই যে এতবড় নদীটা খুদলেন তা মাটিগুলো রাখলেন কোথায়? শ্বশুর জামাইয়ের নির্বুদ্ধিতা বুঝে বললেন, ‘দেখ এই নদীর অর্ধেক মাটি খাইছে তোমার বাপে আর অর্ধেক খাইছি আমি। তোমার বাপে অর্ধেক খাইছে তোমার মতো পোলা জন্ম দিয়া আর আমি খাইছি আমার মাইয়ারে তোমার সাথে বিয়া দিয়া।’
নদী যে প্রকৃতি উৎস থেকে উৎসারিত, তাকে যে খনন করা লাগে না তা সে জানে না। খুঁড়তে হয় পুকুর। পুকুর তৈরিতে মানুষের হাতের ছোঁয়া লাগে। তাই পুকুর হচ্ছে সংস্কৃতির অংশ আর নদী হচ্ছে প্রকৃতি। এভাবেই তিনি প্রতিটি বিষয় এমন উপমা-ব্যঞ্জনা ও উদাহরণসহ বিবৃত করতেন। সুন্দরভাবে মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে দিতেন। তাই তার কোনো বক্তৃতা বা আলোচনার সময় কাউকে কখনও বিরক্ত হতে দেখিনি।
তিনি যখন শিক্ষকতা পেশা থেকে বা সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে নেত্রকোনায় তার নিজস্ব ভবন বানপ্রস্থে বসবাস শুরু করলেন তখনো তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ফোন করে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করলে দুটো শব্দ তিনি বলতেন—‘বেঁচে নেই-জীবিত আছি’। এটা বলতেন তিনি তার এক ধরনের মনের কষ্ট থেকে। কষ্ট হলো, শেষের দিকে উনি লিখতে পারতেন না। অর্থাৎ সামাজিক সক্রিয়তার কোনো ক্ষেত্রে অবদান রাখতে না পারার মনোবেদনা থেকে। আর বেশিরভাগ সময় হাস্যরসাত্মকভাবে বলতেন, ‘আমি ভালো আছি, শরীরডা ভালো না।’ বলেই একগাল অট্টহাস্যে ভুবন ভরিয়ে দিতেন।
...কষ্ট হলো, শেষের দিকে উনি লিখতে পারতেন না। অর্থাৎ সামাজিক সক্রিয়তার কোনো ক্ষেত্রে অবদান রাখতে না পারার মনোবেদনা থেকে। আর বেশিরভাগ সময় হাস্যরসাত্মকভাবে বলতেন, ‘আমি ভালো আছি, শরীরডা ভালো না।’ বলেই একগাল অট্টহাস্যে ভুবন ভরিয়ে দিতেন।
এই মনীষীতুল্য মানুষটি ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট, বাংলা ১৩৩৪ সালের ২ ভাদ্র নেত্রকোনা জেলা সদর থেকে দশ মাইল দূরে কেন্দুয়া থানার রামপুরায় জন্মগ্রহণ করেন। রামপুরা ফ্রি বোর্ড প্রাইমারি স্কুলেই চলে তার বাল্যের লেখাপড়া। তার বাড়ির খুব কাছাকাছি ছিল রামপুরা বাজার। এই বাজারটিকেই তিনি ‘দুনিয়ার জানালা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ দুনিয়ার যত খবরাখবর আছে তা প্রথমে এই বাজারে এসে পৌঁছাত এবং পরে ছড়িয়ে পড়ত গ্রামের মানুষের মুখে মুখে।
তিনি জন্মেই দেখেছেন ‘পরাধীন স্বদেশ ভূমি’। জন্মের অব্যবহিত পরেই শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ফলে শিশু অবস্থাতেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে বাবার কাছ থেকে সমসাময়িক রাজনীতি, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, হিন্দুদের দেশত্যাগের গল্প শুনেছেন। এসব গল্পই তারা কাঁচা বয়সে দগদগে অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। তার চেতনাকে বিভিন্নভাবে আলোড়িত করে।
এ সময়েই নির্বাচনী প্রচারণায় চোঙ্গা ফোঁকা এবং বক্তব্য দেওয়ার প্রবণতা রপ্ত করে তোলেন তিনি। তার বাবাই তাকে প্রথমে একটি টুলের ওপরে তুলে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন। এরপর ছোটভাই মতীন্দ্রকে শ্রোতা বানিয়ে বনে বাদাড়ে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে শুরু করতেন।
১৯৪৮ সালে তিনি যখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তখনই ভাষা আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করেন এবং নেত্রকোনা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালীন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিএ ক্লাসে ভর্তি হন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে। সেখানে তার লেখালেখি এবং সক্রিয় রাজনীতির পাঠ শুরু হয়। তিনি এসময় ‘দিশারী’ নামের একটি দেয়ালিকা সম্পাদনা করতেন।
১৯৬৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক পান। এরপর তিনি একে একে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৭), মনির ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কার (২০০১), প্রথম আলো বর্ষসেরা বই (১৪১১) পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০০৭) ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও আমরা সূর্যমুখীর সম্মাননা (২০০৮) আলতাফ আলী হাসু পুরস্কার (২০০৯) এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পান ২০১০ সালে। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
এই কীর্তিমান মানুষটির শারীরিক প্রস্থান ১৩ আগস্ট ২০২৫। কিন্তু রেখে গেলেন তিনি তার অসংখ্য কীর্তি। রইলেন স্ত্রী কানন বালা সরকার, ছেলে সুমন সরকার, মেয়ে সুদীপ্তা সরকার, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের অসংখ্য সহযাত্রীকে। এদের সবার মাঝে তিনি তার কীর্তিতে মহীয়ান হয়ে বেঁচে থাকবেন।
জয়তু সরকার।
অমিত রঞ্জন দে : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী
