‘আইন হাতে তোলার প্রবণতা রোধে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে’

ছাত্র-জনতার নাম করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে লুটপাটসহ নানা ধরনের অরাজকতা ঘটছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে ছাত্র-জনতার নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দোসররা লাভবান হচ্ছে। কাজেই অবিলম্বে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা রোধে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আম জনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মোহাম্মদ মশিউজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) উদ্যোগে চলমান গণইফতার কার্যক্রমের পঞ্চম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিবলী নোমান।
মশিউজ্জামান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সংশ্লিষ্ট সব দলমতের নেতাদেরও মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতার নামে দেশে যত ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে তার দায় দিনশেষে আন্দোলনকারী শক্তিগুলোর ওপরই বর্তাবে। দেশে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা তৈরির মাধ্যমে সরকারকে বিব্রত করার নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অবিলম্বে আইন হাতে তুলে নেওয়ার এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাসুম বিল্লাহ বলেন, এবি পার্টির গণইফতার অনেক চমৎকার ও ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন। গণইফতারে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ উপস্থিত হয়েছে এবং তাদের পাশে থেকে এবি পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ওএফএ/এসএসএইচ