আগামী ঈদুল ফিতরের পরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৭টি হলের সমন্বিত সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। 

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, হলগুলোতে আমরা দক্ষ নেতৃত্ব চাই। যারা মেধাবী, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে বুকে ধারণ করবে তাদেরকেই নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। যাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম নেতিবাচক বিষয় আছে তাদেরকে বিবেচনা করা হবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে জামায়াত-শিবিরের পেতাত্মা ও পাকিস্তানের পা চাটা গোলামদের কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। 

ছাত্রলীগ কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজশাহীর প্রতিটি কোচিং সেন্টার সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির মগজধোলাই দিতে না পারে। যেখানেই ওদের পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই দিতে হবে। 

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাবে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি খালিদ হাসান নয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, প্রদীপ কামুর সাহা পিংকু, আহসান হাবীব বাপ্পী, আফি আজাদ বান্টি, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস প্রমুখ। 

মেশকাত মিশু/আরএআর