চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কথিত দুই গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ।

জানা যায়, নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনে বাকবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে এসে পৌঁছালে সেখানে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর কথিত সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের উপর হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও উভয় পক্ষের কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিক্সটি নাইন গ্রুপের এর আহতরা হলেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মামুন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানিক।

ভিএক্স গ্রুপের আহত কর্মী হলেন বোটানি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহ পরান। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে জড়ানো উভয় গ্রুপই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়ের আ জ ম নাসির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

দুই গ্রপের মদ্যে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ব্যাপারে ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা বসে মীমাংসা করে নেব।’

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘শাটল ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। এখানে পক্ষ বিপক্ষ দেখার সুযোগ নেই। যেই অপরাধী তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব ৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যাতে অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে সে আহ্বান থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া এ ঘটনার ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রুমান/এমটিআই