দুর্নীতিমুক্ত বেরোবি চান সংস্কৃতিকর্মীরা
দুর্নীতিমুক্ত বেরোবি ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন
সঞ্চালনার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিবাদী উচ্চারণ। অসঙ্গতি, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, সেশনজট শব্দগুলোকে ‘না’ বলে হাত উঁচিয়ে সমর্থন। আবার কখনো ‘ক্ষমা নেই ছিছি, ক্যাম্পাসে আসেন ভিসি-এরকম নানা স্লোগান। চলতে থাকে একটার পর একটা গান, নাচ আর আবৃত্তি। এভাবেই মহামান্য আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে ইতিবাচক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দাবি জানান বেরোবির সংস্কৃতিকর্মীরা।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় দুর্নীতিমুক্ত, শিক্ষাবান্ধব ও ইতিবাচক শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে এই প্রতিবাদী পরিবেশনার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন গুনগুন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ভবতরী ও বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদী পরিবেশনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে নেতিবাচক প্রচারণার অংশ না হতে আহ্বান জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। একই সঙ্গে নিয়োগের শর্ত ভাঙার দায়ে উপাচার্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
কেবল উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদই নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গর্বের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও ওঠে আসে শিল্পীদের পরিবেশনায়।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক এ আয়োজনে প্রতিবাদী গণসংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সবশেষে পরিবেশন করা হয় বিট্রিশ শাসন, শোষণ, বঞ্চনার প্রেক্ষাপট থেকে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার গল্প নিয়ে একটি গীতিনাট্য।
এদিকে পুরো আয়োজনের ফাঁকে ফাঁকে চলে প্রতিবাদী বক্তৃতা। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুক, উদীচী বেরোবি সংসদ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাগর, বিজ্ঞানচেতনা পরিষদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম পিয়াস, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সভাপতি পোমেল বড়ুয়া প্রমুখ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি