ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতির ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। কিন্তু উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের দাবি, অভিযোগ সত্য।

শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকরা ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের পর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চা, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাসহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে দেশসেবার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলার স্থান। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ তথাকথিত পরিষদ তৈরি করে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একইসঙ্গে একেক সময় একেক কর্মসূচি গ্রহণ করে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ভিসিবিরোধী শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় আগামীকাল রোববার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-এর একটি তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তদন্ত কাজে আসবে, সেটিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

তবে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ড. মতিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দুর্নীতি করেছেন, আমরাও তার অনেক দুর্নীতি সম্পর্কে জানি। শুধু যেসব দুর্নীতির প্রমাণ আমাদের কাছে আছে, সেগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।’

শিপন তালুকদার/এমএসআর