মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রোববার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছার অভাব ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। তবে স্বাধীনতাবিরোধীরা আল-জাজিরার মতো তথাকথিত গণমাধ্যমকে দিয়ে চক্রান্ত করছে।

অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, একটি দেশকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করতে হলে সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উন্নত করতে হবে। বর্তমানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। সুতরাং এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত করতে না পারলে বাংলাদেশকেও উন্নত বিশ্বের কাতারে নেওয়া সম্ভব নয়। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

দাবি আদায় না হলে আগামী ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়ে নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমরা আশা করছি তিনি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে এই সমস্যার সমাধান করবেন।

এর আগে বেলা ১১টায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমান বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টাররোল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রুত নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্যের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল নোবিপ্রবির সব পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই স্থগিত আদেশের মেয়াদ দুই বছর হলেও এখনো আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগেও একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৭২ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

হাসিব আল আমিন/এনএ