বর্ণাঢ্য আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচলের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের একুশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পড়ালেখার পাশাপাশি নানামুখী দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেন বক্তারা। 

তারা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান জরুরি। সেইসঙ্গে সততা ও মানবিক মূল্যবোধও অর্জন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির। এতে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ ও রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. মো. মাহবুব সরওয়ার। 

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় জীবনের পর্যায়। আর পিতা-মাতার পরে সবচেয়ে বেশি আপনজন এখানকার শিক্ষকবৃন্দ। তাই আগামী চার বছর শিক্ষকদের সহায়তায় জ্ঞান অর্জন করে পিতা-মাতার জন্য ‘বেস্ট উপহার’ হয়ে উঠতে হবে। এসময় মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন গুণাবলীর মানুষ হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ বলেন, অত্যাধুনিক যুগে সার্টিফিকেটের পাশাপাশি দক্ষতা ও যোগ্যতা সমানভাবে প্রয়োজন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব। তিনি বলেন, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম হলো যোগাযোগের বন্ধন। এটি যেন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয় সেদিকে সবাইকে সাবধান হতে হবে।

বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ছাত্রজীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত শিক্ষাগ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ‘অ্যাক্টিভ লার্নি’ ও সমস্যা সমাধানকারী হয়ে ওঠাও গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা-কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রেজিস্ট্রার মো. মাহবুব সরওয়ার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সফলতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা। তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে পাঠদান চালিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি নিয়ম-নীতি জানতে উদ্বুদ্ধ করেন।

কেএ