দেশের উন্নয়ন শক্তি হিসেবে কাজ করবে জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন বলেছেন, অতীতের ন্যায় আগামীতেও দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় পল্লীবন্ধুর কর্মীরা রাজপথে সর্তক পাহারায় থাকবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামীতে বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়ন শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সরোয়ার মিলন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকবে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সহ-সভাপতি হাফসা সুলতানা। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আবু সাঈদ লিয়ন।
বিজ্ঞাপন
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজ, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটো, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খান, এজাজ আহমেদ খান ও সাবেক ছাত্র নেতা শামীম ইশতিয়াক চৌধুরী।
এদিকে টিএসসিতে জাতীয় ছাত্র সমাজের ইফতার মাহফিল প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জনিয়ে যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়দুল হক নিশান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের আমলে স্বৈরাচারের পক্ষে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে জাতীয় ছাত্র সমাজের হিংস্র ভূমিকা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধের রক্তাক্ত ইতিহাসের অংশ হিসাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজ ও সব সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী সংগঠনের সমস্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ বিষ্ময়করভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজকে কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হলো। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ন্যাক্কারজনক ভূমিকা ইতিহাসের সঙ্গে বেঈমানীর শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরশাদের পতনের পর যারাই শাসন ক্ষমতায় এসেছে প্রত্যেকেই দেশের রাজনীতিতে এরশাদকে পুনর্বাসন করেছে। বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারও এরশাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরশাদের ছাত্র সংগঠন বরাবরই প্রত্যাখান হয়েছে। সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজও জাতীয় ছাত্র সমাজের কর্মসূচি প্রতিরোধ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের স্বৈরাচার প্রতিরোধের চেতনা আগামী দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রতিরোধ করার প্রেরণা যোগাবে।
বিবৃতিতে আরও সই করেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর নজির আমিন চৌধুরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার।
এইচআর/কেএ