ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ ও কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

বুধবার (২৫ মার্চ) সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আক্তার হোসেন এবং সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ নিন্দা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মোদিবিরোধী মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, কেন্দ্রীয় নেতা আসমানী আশা, ঢাবি শাখার মেঘমল্লার বসুসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

তারা আরও বলেন, হামলায় মানবজমিন পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ, দেশ রূপান্তরের রুবেল রশিদসহ সাত থেকে আটজন সাংবাদিক রক্তাক্ত হন। এই ঘৃণ্য ও নারকীয় হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

ছাত্রলীগের এই নারকীয় হামলার ইতিহাস নতুন নয় উল্লেখ করে তারা বলেন, ইতোপূর্বে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের অধিকার আদায়ের ন্যায্য আন্দোলনে হামলার মাধ্যমে ছাত্রলীগ নামক সংগঠনটি জাতির সামনে তাদের হিংস্রতার স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল নেতারা দাবি করেন, ছাত্রসংগঠনের আদলে মূলত তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন, তা গতকালের হামলার মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণ করেছে।

হামলায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

এইচআর/এসএসএইচ