বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এবং ছাত্রলীগকে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এদিন পূর্বঘোষিত ‘মোদির আগমনের প্রতিবাদে কুশপুতুল দাহ’ কর্মসূচি পালন করতে টিএসসিতে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। অন্যদিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। ছাত্র ফেডারেশনের দাবি তাদের কর্মসূচি বানচাল করতেই সকাল থেকেই ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে। তবে ছাত্রলীগ বলছে, তারা নিজেদের কর্মসূচি (বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করায় আনন্দ মিছিল) পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে বেলা পৌনে একটার দিকে টিএসসি থেকে মিছিল বের করে ছাত্র ফেডারেশন। এ সময় তারা ‘গো ব্যাক মোদি, গো ব্যাক ইন্ডিয়া, ফ্যাসিবাদের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে রাজু ভাস্কর্যে কাছাকাছি আসলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুরু করে।

এর আগে দাহের জন্য টিএসসিতে রাখা মোদির কুশপুতুল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরা একটি কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচি দেই। আমরা একটি কুশপুতুল তৈরি করে টিএসসি গেটে রাখি। কিন্তু রাজু ভাস্কর্য থেকে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে কুশপুতুলটি মোটরসাইকেলে করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগ আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করেছে।

ছিনতাইয়ের সময় বাধা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বাধা দেওয়ার মতো সুযোগ পাইনি। তারা অনেকটা ছিনতাই করে নিয়ে চলে গেছে, যাতে আমরা দাহ করতে না পারি। কয়েকজন নেতাকর্মী বাধা দিলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘চুপ’ থাকতে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এইচআর/এমএইচএস/এমএমজে