জবিরঙ্গের সদস্যরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌদ্দ বছরের ইতিহাসে ‘বৈশাখী নাট্যোৎসব’ শিরোনামে প্রথম নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল জবিরঙ্গ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি)। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও হচ্ছে না তাদের নাট্যোৎসব।

জবিরঙ্গ ক্যাম্পাসের অন্যান্য নাট্যদলের অগ্রদূত। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের করুণ অবস্থায় আলোর দিশারি হয়ে আসে নাট্যদলটি। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবরে ‘সৃষ্টির সুরে নাট্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী নাট্য কর্মশালা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। ক্যাম্পাসে নাটক নিয়ে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তারা। এর ফলে বর্তমানে অন্যান্য সংগঠনগুলোও তাদের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করছে। 

যেভাবে নামকরণ হয়েছে

পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি। ‘সৃষ্টির সুরে নাট্য’ স্লোগান নিয়ে সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে ঢাকার প্রথম নাট্যদলের নামানুসারে। ক্যাম্পাস চালুর পর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ করে নাটকের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা ছিল। সেই চেতনা থেকেই সংগঠনটির যাত্রা।

ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জবিরঙ্গ

পূর্ণাঙ্গ নাটকের প্রদর্শনী, ২১ ফেব্রুয়ারিতে নাট্য প্রদর্শনী এবং প্রথম নাট্য উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। ২০১৯ সালের ১০ ও ১১ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেসময় জবিরঙ্গের একটি পূর্ণাঙ্গ নাট্য প্রযোজনাসহ মোট চারটি নাট্য প্রদর্শনী হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং টিকেট বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে নাট্যোৎসবটির আয়োজন করা হয়েছিল।

এক বছরের মধ্যেই জবির ইতিহাসে প্রথম নাট্যোৎসব আয়োজনসহ মোট দুটি নাট্যোৎসব, পুঁথি পাঠের আসর, আন্তর্জাতিক উৎসবসহ দুটি নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে পালা উপস্থাপনাসহ নানা আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছিল সংগঠনটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক মাসফিকুল হাসান টনি বলেন, ক্যাম্পাসে নাট্যচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সুস্থ ও সুন্দর ধারার নাট্যচর্চা করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে আমাদের দেশেরও বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তার কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও বিশেষ এই নাট্যোৎসবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক।

প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আগামীতে আরও চমৎকারভাবে এবং জাতীয় মানের উৎসবের আয়োজন করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

আরএইচ