শাবিপ্রবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন গবেষকরা

সিলেট বিভাগের চার জেলায় নতুন ৩০ ধরনের পরিবর্তিত করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ছয়টি পরিবর্তিত করোনাভাইরাস এর আগে বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ২৪টি করোনাভাইরাস বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একেবারে নতুন, তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে রয়েছে ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের গবেষকরা নতুন এই ৩০ ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শাবিপ্রবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম নূরনবী আজাদ জুয়েল বলেন, আমরা সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের জিনোম সিকোয়েন্স করি। সেখান থেকে আমরা করোনার জিনোমে নতুন একটা মিউটেশন (Genome: 27862 : Del : ATCAT) পাই। যা পূর্বে বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে করোনার ১০টি নমুনার জিন বিশ্লেষণ করে প্রোটিন লেভেলে ৪৭টি পরিবর্তন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩০টি পরিবর্তিত করোনাভাইরাস বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একেবারে নতুন। মূলত বাংলাদেশে করোনার গতি প্রকৃতি উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে শাবিপ্রবির জিইবি বিভাগ এ মিউট্যান্টগুলো নিয়ে কাজ করছে। ফলে আমাদের দেশে কোন ভ্যাকসিন কার্যকর হবে সেটার একটি ডিজাইন আগে থেকেই আমরা এ গবেষণাগুলোর মাধ্যমে বুঝতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. এস এম আবু সায়েম, জিইবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান, পিএইচডি রিসার্চ ফেলো নাজমুল হাসানসহ গবেষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকদের এ গবেষণায় আমরা গর্বিত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এ অঞ্চলের মানুষের পাশে ছিল এবং আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে। করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রমের যাতে ব্যঘাত না হয় ঘটে সেজন্য আরও একটি মেশিন ক্রয় করা হয়েছে এবং জিনোম সিকুয়েন্সের জন্য নতুন মেশিন ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরএআর