কর আরোপ বাতিলসহ ৫ দাবি প্রগতিশীল ছাত্র জোটের
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমাবেশ
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিলসহ পাঁচ দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
শনিবার (১২ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করে সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের দাবিগুলো হলো- বেসসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের নামে শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের অবৈধ আয় বাজেয়াপ্ত ও টিউশন ফি নির্ধারণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, করোনাকালে বেতন ফি মওকুফ, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ রানা বলেন, করোনার সময়ে আমরা মনে করেছি এবারের বাজেট সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীবান্ধব হবে। কিন্তু করোনারা অজুহাত দিয়ে বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি পিছিয়ে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস ও গরিব মারার বাজেট ঘোষণ করা হয়েছে। আমরা এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। এ বাজেটে কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতকে উপেক্ষা করে ব্যবসাবান্ধব বাজেটে পরিণত করা হয়েছে।
একটি পত্রিকার প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, এক শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাস করার জন্য তার মা গরু বিক্রি করে মোবাইল কিনে দিয়েছেন। কিন্তু এখন তো আর অনলাইন ক্লাস হচ্ছে না। সে মোবাইল দিয়ে এখন অনলাইন গেম খেলছে। যা শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ আর মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন থেকে ছিটকে পড়েছে। এজন্য বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই দায়ী।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পিছিয়ে দিয়ে শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা শুরু করছে এ সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করেছে। যা মুনাফালোভী মালিকরা বিভিন্ন ফির নামে শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করে নেবে। মুনাফালোভী মালিকদের মুনাফাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ কর আরোপ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফয়েজ উল্লাহ।
অবিলম্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার, সব শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং করোনাকালের টিউশন ফি মওকুফ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান এ ছাত্রনেতা।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) সভাপতি আল কাদেরী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতিসহ প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর/আরএইচ