পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে পরীক্ষায় আয়োজন করে নোটিশ দিয়েছে একটি বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি দীপংকর কুন্ডু স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্যাডে শনিবার (১২ জুন) একটি নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারের তাত্ত্বিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৩ জুন কোর্স নং ইইই-৪১২১, ২৮ জুন ইইই-৪১৩৫, ৩ জুলাই ইইই-৪১০৯, ৭ জুলাই ইইই-৪১০১ এবং ১৩ জুলাই ইইই-৪১০৩ কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা রুটিন মোতাবেক রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত দেড় টায়। 

নোটিশ পাওয়ার পর পরই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেজ ‘পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস আমাদের ক্যম্পাস’ এ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্তব্য করে পোস্ট দিতে থাকেন। 

সুমাইয়া ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বাহ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে সবাই এক্সাম দিতে পারবে।

অপর এক শিক্ষার্থী সজিব হাসান লিখেছেন, চলছে সার্কাস। 
 
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাবিপ্রবি ক্যম্পাসে কি চলছে, আমরা বুঝতে পারছি না। ভিসি স্যার প্রকল্প নিয়ে আর শিক্ষকরা রাতে পরীক্ষা নেওয়ার নোটিশ দিতে ব্যস্ত। 

বিষয়টি নিয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের ৪র্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারের তাত্ত্বিক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি দীপংকর কুন্ডুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, টাইপিং মিসটেক হয়েছে, ঠিক করে দেওয়া হবে। কিভাবে এত বড় ভুল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

পাবিপ্রবি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার সরকারের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

প্রসঙ্গত, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গভীর রাতে অনলাইনে ক্লাশ নিয়ে সারাদেশে জন্ম দেওয়া বিতর্কের রেশ না কাটতেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে পরীক্ষা নেওয়ার নোটিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নোটিশটি শিক্ষার্থীদের কাছে যাওয়া মাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

রাকিব হাসনাত/এসপি