শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাজু

জাহিদ হাসান রাজু নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধান দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জাহিদের পরিবার, শিক্ষক ও সহপাঠীরা।

জাহিদ হাসানের পরিবার জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম ব্যাচের ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান ২৪ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানী মিরপুরের মেস থেকে মাগরিবের নামাজ পড়তে বের হন। তবে নামাজ শেষে তিনি আর বাসায় ফিরে আসেননি।

তখন থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান না পাওয়ায়ত ২৬ জুন তার সন্ধান চেয়ে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো সন্ধান মেলেনি তার। বরং তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নানা চক্র তাদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাজুর মা আকলিমা বেগম বলেন, একমাত্র ছেলে জাহিদকে হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। ২৪ তারিখের পর থেকে আমরা তার কোনো খোঁজ জানি না। থানায় জিডি করেছি কিন্তু এখনো কোনো সন্ধান পাই নাই। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ২৬ জুন জাহিদের নাম্বার থেকে কল করে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এটাও জানায় সে চক্র। কে বা কারা সে টাকা দাবি করছে আমরা বুঝতে পারছি না।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, নিখোঁজ জাহিদ হাসানকে উদ্ধার করতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি। তার পরিবার দাবি করছে ২৬ তারিখে তার ফোন থেকে কল এসেছে কিন্তু এর সত্যতা আমরা পাইনি। তার ফোন সর্বশেষ চালু ছিল ২৪ জুন।

এদিকে প্রতারক চক্রের চাহিদা অনুযায়ী কয়েক দফায় ওই চক্রের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও দাবি করে তার পরিবার। তবে টাকা পাঠানোর পরেই সে নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হাসানের সন্ধান দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তার স্ত্রী হাফসা আক্তার। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে আমি আমার স্বামীর সন্ধান দাবি করছি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পাচ্ছি না। দিনদিন আমাদের শঙ্কা বেড়েই চলছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব কবীর, অধ্যাপক সুবর্ণা কর্মকার, সহযোগী অধ্যাপক আওলাদ হোসেন। এছাড়া নিখোঁজ জাহিদ হাসানের সন্তান তাবিয়া এবং তার বন্ধুরা।

মো. আলকামা/এমএসআর