রাবির ২৫ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের তালিকা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফাইল ছবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ৬ মাসের মধ্যে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার দৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রায় দুই যুগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বিধিবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না? জানতে চেয়েছেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি কেন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন করার নির্দেশনা দেওয়া হবে না? সে মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর রুল জারি করেছেন আদালত।
জানা গেছে, এর আগে দুই যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করেন রাবির সাবেক ৪ শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে রিট করেছিলেম রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, সাবেক সিনেট সদস্য আইয়ুব আলী খান ও সাদাকাত হোসেন খান বাবুল এবং সাবেক ছাত্র মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ।
বিজ্ঞাপন
আদালতে এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিম মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
গত ২৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০ ধারা ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না? এবং সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিবসহ বিবাদীদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল বলেন, ‘সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। এরপর আর নির্বাচনের উদ্যোগ দেখা যায়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করণীয় কী হবে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম বলেন, '‘এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নোটিশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আমি তো জানিই না কী নোটিশ এসেছে। নোটিশ আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের সঙ্গে পরামর্শ করে পদ্ধতিগত যা করণীয় সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০ ধারা অনুসারে ৩ বছর মেয়াদে সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা রয়েছে। কিন্তু সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনসহ অন্য সদস্য পদে নির্বাচন হলেও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে না, যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বৈষম্যমূলক। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছিল। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে এই নির্দেশ দেন।
এমএসআর