হলে অন্তঃসত্ত্বা ও বিবাহিত ছাত্রীদের না থাকার বিধান বাতিল করেছে ঢাবি প্রশাসন। চার দাবির একটি ছিল এটি। এবার সব হলের জন্য বাকি তিন দাবির বাস্তবায়ন চেয়েছেন ঢাবির ছাত্রীরা।  

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা দাবি তিনটির বাস্তবায়ন চান। 

দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা, আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিকদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা ও জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি আবাসিক হলের ছাত্রীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রশাসন করে আসছে, তার অবসান  আমরা বরাবরই চেয়েছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই উপাচার্য স্যারের কাছে চার দফা দাবি পেশ করেছিলাম, যার প্রতিটিই আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রথম দাবি বুধবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে মেনে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাকিগুলো মানা হয়নি। আমরা প্রতিটি দাবির বাস্তবায়ন চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি আবাসিক হলে একই নিয়ম চাই। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মোট ১৮টি হলের নিয়মাবলি জরুরিভিত্তিতে নতুনভাবে সংশোধন করে শিক্ষার্থীবান্ধব ও যুগোপযোগী অভিন্ন নিয়মাবলি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী মেঘলা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফসানা ছপা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাতিমা তাহসিন, সাহিত্য সম্পাদক অরনিমা তাহসিন, কবি সুফিয়া কামাল হল সংসদের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রিপা কুন্ডু, সাবেক সংস্কৃতি সম্পাদক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রমুখ।

এইচআর/আরএইচ