নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সেই মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় শিশু জান্নাতুল বৃষ্টির চিকিৎসার জন্য এবার ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৃষ্টির মা আয়েশা খাতুনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব উল আহসান, শিশু জান্নাতুল বৃষ্টি ও তার বাবা শাহজাহান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় কথা হলে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনও রাজীব উল আহসান জানান, অসহায় শিশু বৃষ্টির চিকিৎসা সহায়তা বাবদ জেলা প্রশাসক মহোদয় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছেন।

ইউএনও আরও বলেন, আমি বৃষ্টির চিকিৎসার ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী শনিবার (১২ মার্চ) বাবা-মাসহ শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দেখবেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন। তারা প্রয়োজন মনে করলে বৃষ্টিকে ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালেও পাঠানো হবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।

ইউএনও আরও বলেন, দুই হাসপাতাল থেকেই বৃষ্টির জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এরপরও যত ধরনের বাড়তি খরচ লাগবে, তা আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে বহন করব।

বৃষ্টির বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, আমার মেয়েটার যে রোগ হইছে, তার চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা আমার মেয়েকে নিয়ে লেখালেখি করছেন এবং ইউএনও স্যার আমার মেয়ের ভালো চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিছেন।

তিনি বলেন, আজ ইউএনও স্যার আমাদের ডিসি স্যারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ডিসি স্যার আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন। ইউএনও স্যারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে বলেছেন ডিসি স্যার এবং আরও সহযোগিতা করবেন বলেছেন।

অসহায় বৃষ্টির পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং সাংবাদিকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান শাহজাহান মিয়া।

এদিকে গত রোববার (৬ মার্চ) শিশু বৃষ্টিকে নিয়ে ‘মা হয়ে মেয়ের কোমল হাত বেঁধে রাখতে আমার খুব কষ্ট হয়’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ