ফরিদপুরে সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার কথিত প্রধান পরিচয়কাদানকারী বাবা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৮টি ওয়াকিটকি ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকরা হলেন, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হলদে বাড়ি গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে মো. লিমন বাবু (২৫)। তারা ফরিদপুর শহরের রঘুনন্দনপুর মহল্লায় অবস্থিত সাংবাদিক জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির আটটি ওয়াকিটকি, বিভিন্ন আবেদনকারীর ৬টি চাকরির আবেদনপত্র, ১০ সেট স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প, একটি নীল রংয়ের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আরটিভির ফরিদপুর প্রতিনিধি ও বাসার মালিক জাকির হোসেন বলেন, গত ছয় মাস আগে আনোয়ার হোসেন তার বাড়ির একটি ফ্লাট ভাড়া নেন। তিনি বুঝতেই পারেননি তার বাড়িতে প্রতারকচক্র অবস্থান করছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ওই ব্যক্তির স্বজনদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, আনোয়ার হোসেন নিজেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার ফরিদপুরের প্রধান পরিচয় দিয়ে প্রায় এক বছর আগে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নেন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মো. বকুল মন্ডলের ছেলে মো. মামুন মন্ডলের (২৬) কাছে। দীর্ঘদিনও চাকরি না পেয়ে মামুন মন্ডল বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন। 

এরপর তিনি গত সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে প্রতারক আনোয়ার হোসেন, লিমন বাবু ও রাজবাড়ীর একেন আলীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই/তিনজনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুর রহমানের কাছে দায় স্বীকার করে জবনাবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বাবা ও ছেলেকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, এ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি একেন আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জহির হোসেন/এমএএস