নাসির উদ্দিন সগির ও তাইফ উদ্দিন শান্ত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে এক ঘরেই দুই ভাই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র মেয়র পদে নাসির উদ্দিন সগির ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ছোট ভাই তাইফ উদ্দিন শান্ত মাঠে রয়েছেন।

জানা গেছে, নাসির রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। তিনি একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পক্ষে ভোট করায় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। নাসির ও তাইফ পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার নুরুল ইসলাম মুন্সি বাড়ির বাসিন্দা।

এদিকে, সগির ছাড়াও রায়পুর পৌরসভায় আ.লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, বিএনপির এবিএম জিলানী, ইসলামী আন্দোলনের আবদুল খালেক ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনির আহমেদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রুবেল ভাট কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। জিলানী রায়পুর পৌরসভার সাবেক দুইবারের মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি।

নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঋণ খেলাপি ও দাখিল করা কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আহসান উল্যা মাল, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইউসুফ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম হায়দারের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়নি। এজন্য তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে বিএনপি সমর্থিত ফেরদৌসী আরা স্বপ্না একমাত্র প্রার্থী। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি রায়পুর পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। হলফনামা যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। রায়পুর পৌরসভায় ২৩ হাজার ৬৩১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৬৪১ ও নারী ১১ হাজার ৯৯০ জন। রায়পুরে ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, এখন পর্যন্ত ৫ জন মেয়র প্রার্থী, ৫৬ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি