গ্রেপ্তার দুই আসামি নাজমুল হোসেন ও বকুল সরকার

কাভার্ডভ্যান ছিনতাই করে চালককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় কাভার্ডভ্যানসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মেট্রেপলিটন সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তাররা হলেন-রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার দেওয়ান টুলি এলাকার মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন (২২) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ এলাকার মানিক চন্দ্র সরকারের ছেলে গকুল চন্দ্র সরকার ওরফে বকুল সরকার (৩০)।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশ হেড কোয়াটার্সের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপপুলিশ কমিশনার মো. জাকির হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর থানা পুলিশ ন্যাশনাল পার্কের ৫ নম্বর গেট সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে একটি অজ্ঞাত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির স্ত্রী সাহেদা বেগম খবর পেয়ে মরদেহটি তার স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক মুন্নাফ সরকারের (৫০) বলে শনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে সাহেদা বেগম সদর থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। 

পুলিশ জানতে পারে মুন্নাফ নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার নান্নু স্পিনিং মিল থেকে ১২২ বস্তা সুতা নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা-চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামিরা ভোগড়া বাইপাস এলাকায় কাভার্ডভ্যানে ওঠে। এরপর মুন্নাফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহটি ন্যাশনাল পার্কের ৫ নম্বর গেট এলাকায় ফেলে রেখে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। 

পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার পুলিশ কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকা থেকে আসামি গকুল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার এবং ১২২ বস্তা সুতা উদ্ধার করে। 

গকুলের দেওয়া তথ্য মতে, রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি নাজমুল হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। 

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার থোয়াই প্রু মারমা, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।

মিলটন খন্দকার/এসপি