নরসিংদীতে পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও ভোটকেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের খায়রুল ইসলাম ও পানির বোতল প্রতীকের প্রার্থী আইনউদ্দিন খন্দকারের সমর্থকরা ইউএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায় এবং কটটেল নিক্ষেপ করে। 

এ সময় তাদেরকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। ঘটনার পর আশরাফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক আশরাফুল উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী খায়রুল ইসলামের বড় ভাই। 

এছাড়াও একই সময় শালিধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বেশিরভাগই নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আমজাদ হোসেন বাচ্চুর সমর্থক।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ জানান, ঘটনার পর ইউএমসি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। 

চতুর্থ ধাপে নরসিংদী পৌরসভার ৪০টি কেন্দ্রের ২৭৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ছয় প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ছয়টি টিমসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ও তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

তিন ধাপে আওয়ামী লীগের ৬৯ জন, বিএনপির ৯ জন ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। 

রাকিবুল ইসলাম/আরএআর