সোনাইমুড়ীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বোমা বিস্ফোরণ ও সহিংসতায় এক যুবক গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলোক পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-সোইমুড়ী উপজেলার বাহারকুট গ্রামের আবদুল হকের ছেলে মোহন (১৮), আমিরাবাদ এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে সালাউদ্দিন (২৭) এবং উলুপাড়া এলাকার স্বপনের ছেলে মনির (২২)।

জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ করে ভোটারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় মোহন (১৮) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন বলেন, শুনেছি কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কয়েকজন আহত হয়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে তিনি গুলিবিদ্ধের অভিযোগ নাকচ করে দেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, সোনাইমুড়ীতে পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতায় মোহন নামে এক যুবক বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া আরও দুইজন আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এর আগে সকাল ১০ টায় জাল ভোটসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাঁঠালি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার।

এ ছাড়া সকালে সোনাইমুড়ী পৌরসভার কৌশল্লার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করেন কেন্দ্রে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

উল্লেখ্য, সোনাইমুড়ী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোনাইমুড়ীর ৯টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২৫ হাজার ২৩২ জন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ও তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। 

তিন ধাপে আওয়ামী লীগের ৬৯ জন, বিএনপির ৯ জন ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। 

হাসিব আল আমিন/এসপি