মাগুরায় শিশুদের বিনোদনে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক
পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য প্রায়োজন চিত্তবিনোদন। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে সমানভাবে। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখেই মাগুরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করছে একটি শিশু পার্ক।
নির্মাণাধীন এই শিশু পার্কে শিশুরা নাগরদোলাসহ অসংখ্য বাহন (রাইড) ব্যবহার করতে পারবে। চড়তে পারবে রেলগাড়িতেও। এ ছাড়া হানি সুইং, ম্যারি গো রাইড, প্যারা টোপার ইলেকট্রিক হানি বাম্পার কারসহ শিশুদের জন্য বেশ কিছু রাইড থাকছে।
বিজ্ঞাপন
মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী ও লক্ষ্মীকান্দ্রর কুমার নদের তীরে গড়ে উঠেছে মাগুরার এ পৌর শিশু পার্কটি। যা শিগগিরই উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
এই পৌর শিশু পার্ক নির্মাণের মধ্য দিয়েই মাগুরাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। আর পার্কটি চালু হলে তা শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চিত্তবিনোদনের বড় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
বিজ্ঞাপন
শহরের স্টেডিয়ামপাড়া নিবাসী ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরীফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সাধনের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজন সুন্দর, সুস্থ, নির্মল চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। সেই বিবেচনায় মাগুরা পৌর কর্তৃপক্ষ যে ধরনের শিশু পার্ক নির্মাণ করেছে, তা অভাবনীয়। সময়ের প্রয়োজনে একদিন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্কের অধিকাংশ কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন চলছে ঘষামাজা ও রংতুলির কাজ।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণাধীন পার্কটিতে ট্রেন ছাড়াও ৩২টি আসনের পাশাপাশি দুটি কটেজ, রান্নার জায়গা, পাবলিক টয়লেট ও গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকছে।
পার্কের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এখন অনেকেই সন্তানদের নিয়ে তা দেখতে আসছেন।
এই পৌর শিশু পার্কে ঘুরতে আসা সবিতা রানী দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, এত দিন আমাদের শহরে শিশুদের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এই পার্কটির কথা শুনেই সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে চলে এসেছি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
মাগুরার পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুখালীর কামারখালী থেকে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন বকুল মোল্লা। তিনি বলেন, মাগুরা শহরে একটি ভালো পার্ক তৈরির খবর শুনে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এখানে বেড়াতে চলে এলাম। এখানকার পরিবেশ খুব ভালো। আমার সন্তানরা খুব মজা পেয়েছে।
এ বিষয়ে মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় তিন একর জামির ওপর ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পৌর শিশু পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে পৌর শিশু পার্কটি উদ্ধোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এটা চালু হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি পিকনিক স্পট ও কটেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পার্কটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে মাগুরার মানুষের বিনোদনের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করছি।
অপূর্ব মিত্র/এনএ