বগুড়ায় বরযাত্রীবাহী বাস উল্টে নদীতে পড়ে সাধন চন্দ্র (৭০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাধন উপজেলার পীরহাটী গ্রামের গদাই চন্দ্রের ছেলে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের পলান কুমারের ছেলে তাপস কুমার রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বরযাত্রী নিয়ে শেরপুরের ঘাটপার এলাকায় বিয়ে করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বর যাত্রায় তামান্না এন্টার প্রাইজ নামের একটি বাস ছিল। বাসটি বাড়ির অদূরে সেতুতে ওঠার সময় উল্টে নদীতে পড়ে যায়। ওই বাসটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন বরযাত্রী ছিলেন।

এদিকে বাসটি খাদে পড়ার পর থেকে স্থানীয় লোকজন ও ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা এসে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায়। অভিযানকালে সাধন চন্দ্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সাধন চন্দ্র ওই বিয়েতে বাদ্যকার হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

রোববার রাতে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিদ্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে বর যাত্রীবাহী বাস উল্টে নদীতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তা নিয়ে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায়। এ ঘটনায় সাধন চন্দ্র নামের একজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর