ঘন কুয়াশায় দিনকে মনে হচ্ছে রাত

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা। দিন যত যাচ্ছে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। কনকনে শীতে সময় মতো কাজে যেতে না পেরে বেকার সময় পার করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

সরজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো কিছুটা দেখা গেলেও থাকছে শীতের তীব্রতা ও হিমেল হাওয়া। এতে বিপাকে পড়েছে জেলার পাঁচ উপজেলার দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। অনেকে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না। আর যারা শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন তারাও কাজ না পেয়ে বাড়ির দিকে ফিরে আসছেন।

যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। ইতোমধ্যে  কিছু কিছু জায়গায় বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র এসেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে। ফলে তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এসপি