সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল

সিলেটে দ্রুত করোনা শনাক্তের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হলেও প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রচারণার অভাব ও শর্তের কারণে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার মতো রোগী মিলছে না সিলেটে। প্রতিদিন গড়ে ৭জন রোগী অ্যান্টিজেন টেস্ট করছেন। গত ১৫ দিনে সিলেটে মাত্র ১০৮ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে।

জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়। এই পদ্ধতিতে দ্রুত পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর আশা করেছিল সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে রোগীরা আগ্রহী হবেন। তবে শুরুর ১৫ দিন পর মাত্র ১০৮ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। 

সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র ঢাকাপোস্টকে বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট করার জন্য রোগীর অবশ্যই করোনার উপসর্গ থাকতে হবে (জ্বর, সর্দি-কাশি)। উপসর্গ না থাকলে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় না। অ্যান্টিজেন টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে এখনও ৩৯২টি কিট রয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান ঢাকাপোস্টকে বলেন, আমরা অ্যান্টিজেন টেস্টে প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছি না। এজন্য প্রচারণার অভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাবিপ্রবির পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। অথচ সিলেটে গড়ে ৭ -৮ জন রোগী অ্যান্টিজেন টেস্ট করছেন। এতেই বোঝা যায় প্রচারণার অভাব রয়েছে। 

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, প্রচারণার অভাবে সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্ট কম হচ্ছে। রোগীরা করোনা পরীক্ষার ফল দ্রুত চায়। তাই অ্যান্টিজেন টেস্ট করার জন্য ভিড় হওয়ার কথা। কিন্তু প্রচারণা না থাকায় করোনার উপসর্গ থাকা রোগীরা অ্যান্টিজেন টেস্টের কথা জানতে পারছে না।

এসপি