চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রেললাইনে বসে কানে হেডফোনে দিয়ে সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় আহত কিশোর হৃদয় মারা গেছে। শুক্রবার (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত সোমবার (১৬ মে) বিকেল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা শহরের লালব্রিজের অদূরে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হৃদয় আলমডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ কাজে অস্থায়ী হিসেবে কর্মরত ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ট্রেনের যাত্রী চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক সাদিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রেনযোগে কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসছিলাম। আলমডাঙ্গা শহরে লালব্রিজের অদূরে পৌঁছালে রেললাইনের ওপর বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে সেলফি তুলছিল ওই কিশোর। ট্রেনটি দূর থেকে হর্ন দিলেও ওই কিশোর টের পায়নি। এতে ট্রেনের ধাক্কায় সে দূরে ছিটকে পড়ে। পরে ট্রেনটি একটু দূরে গিয়ে থেমে যায়। ট্রেন থেকে নেমে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা কিশোরকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

হৃদয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল হক।

কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল হক বলেন, হৃদয় রেললাইনের পাশে দিয়ে ট্রেন আসার সময় লালব্রিজে উঠে সেলফি, টিকটক ভিডিও বানাত বলে জেনেছি। সোমবার রেললাইনের উপর বসে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে সেলফি  তুলছিল। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থার অবনতি হলে দুদিন পর কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয়ের মৃত্যু হয়। রাতেই হৃদয়ের মরদেহ আলমডাঙ্গায় পৌঁছাবে।

আফজালুল হক/এসকেডি