ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে পরাজিত দলের হামলায় বিজয়ী দলের খেলোয়াড়সহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা সদরের বাখুন্ডা কলেজ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছ, শুক্রবার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ড কাপ (অনুর্ধ্ব ১৭) ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশ ও কৈজুরি ইউনিয়ন একদাশ প্রতিযাগিতায় অংশ নেয়। খেলার নির্ধারিত সময়ে দুই দল দুটি করে গোল করলে ম্যাচ ড্র হয়। পরে টাইব্রকারে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশ ৩-২ গোলে কৈজুরি ইউনিয়ন একাদশকে হারায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টাইব্রকারে কৈজুরি একাদশ হেরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের খেলোয়াড়রা মাঠের মধ্যে ডিক্রিরচরের খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করে। পরে মাঠের বাইরের দর্শকরাও রড, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডিক্রিরচরের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের পিটিয় আহত করে। আহতদের মধ্যে ১৮ জন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্য পাঁচজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হামলায় আহত ডিক্রিরচর দলের খেলোয়াড় মো. পিয়াস মোল্লা (১৬) বলেন, টাইব্রেকারে প্রথম কৈজুরি আমাদের গোল দেয়। তখন কৈজুরির খেলোয়াড়রা উল্লাস করে। খেলায় আমরা জিতে গেলে উল্লাস শুরু করলে কৈজুরির খেলোয়াড়রা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।

ওই সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদরের ইউএনও লিটন ঢালী। তিনি বলেন, আমি ওই সময় মাঠে উপস্থিত ছিলাম। দেখলাম মাঠের এক দিকে জটলা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ভেন্যু কৈজুরি ইউনিয়ন সংলগ্ন হওয়ায় কৈজুরির খেলোয়াড় ও সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এই হামলার বিচার চাই।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর সদরের ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে গত ১৮ মে থেকে নক আউট পদ্ধতিতে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শনিবার কানাইপুর ও ডিক্রিরচর ইউনিয়ন একাদশের মধ্যে ফাইনাল খেলা বাখুন্ডা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জহির হোসেন/এসপি