দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যানবাহন
দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
টানা তিনদিন সরকারি ছুটি ও আটরশির ওরস থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদী পারের জন্য এখন অপেক্ষা করছে প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহন। তবে ছোট গাড়ির তেমন একটা চাপ নেই।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ওপর নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক বাস ও ট্রাক।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে গোয়ালন্দ মোড়ে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের ওপর নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারারাত এই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি। এখানে নেই কোনো খাবারের দোকান, নেই টয়লেট। দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছি এখানে।
বিজ্ঞাপন
হানিফ পরিবহনের যাত্রী সোহাগ মিয়া বলেন,রাত ১০টার দিকে যানজটে আটকা পড়ি। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। এখন পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আছি। ফেরির নাগাল পেতে আরও ৩ ঘন্টা লেগে যেতে পারে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ্ রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটরশির ওরস ফেরত বাস ও তিনদিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে ঘাটে বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে। এ সকল যানবাহন পার করার জন্য এই নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নদী পারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি