লক্ষ্মীপুরে ১৪ কোটি টাকার সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুরে ১৪ কোটি টাকার সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন
লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮৭ ফুটের একটি সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এ কাজের নামফলক উন্মোচন করেন।
সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেরবেকি বাজারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্তের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা বকুলের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল, আবুল খায়ের স্বপন, শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটু, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল।
বিজ্ঞাপন
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রহমতখালী খালের ওপর লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তেরবেকি বাজারের বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় ছয় মাস আগে তেরবেকি বাজারের সেতুর নির্মাণকাজের টেন্ডার ঘোষণা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮৭ ফুটের সেতুর কাজ পান। সেতু ১০.২৫ মিটার চওড়া হবে। ১৮ মাসের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে বরাদ্দ অনুযায়ী তিনটি সেতুর টেন্ডার ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে একটি তেরবেকি বাজার সেতু। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শেষ করলে সেতুটি উন্মুক্ত হবে।
প্রায় ১০ বছর ধরে তেরবেকি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। স্টিলের নতুন শিট লাগিয়ে এটি সংস্কার করা হতো। কিন্তু শিটগুলোতে মরিচা ধরে গর্ত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে জনসাধারণ। যানবাহনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় সওজ। এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। সেতু দিয়ে লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট মেঘনা নদী হয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ ২১ জেলার সহজ নৌ-যোগাযোগ মাধ্যম। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রায় ১৮৭ ফুট লম্বা ও প্রায় ৩৩ ফুট চওড়া সেতুর বরাদ্দ দেয় সরকার।
এএম