বেরোবিতে জাতীয় পতাকা বিকৃতভাবে উপস্থাপনে জড়িতদের বহিষ্কার দাবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের মানববন্ধন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতীয় পতাকা বিকৃতভাবে উপস্থাপন ও অবমাননার ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরের পার্কের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে সংবিধান লঙ্ঘনকারী শিক্ষকরা এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতারা।  

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেরোবি শাখার সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‌‌যারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন, তারাই বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা বিকৃতি করে ফেসবুকে প্রকাশ করেছে। এরা বারবার অপরাধ করে ছাড় পেয়ে যাওয়ায় এমন কাণ্ড করে যাচ্ছেন। সংবিধান লঙ্ঘন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমাননা করা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পরিষদ নেতারা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত। অথচ ওইসব শিক্ষকরা উপাচার্যের নির্দেশে উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা বিকৃতভাবে উপস্থাপন ও অবমাননা করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে। তারা জাতীয় পতাকার মাঝখানের রক্তবর্ণ ভরাট বৃত্তটি পরিবর্তন করে চার কোণা আকৃতির করে সংবিধানের ৪ (২) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে।’

এদিকে একই দাবিতে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ। 

উল্লেখ্য, মহান বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে বিকৃত পতাকা নিয়ে ছবি তোলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষকসহ উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অন্যদিকে রংপুর জেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন।

এমএসআর