বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নিহতের ঘটনায় করা মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিহতের বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি করেন। 

এদিন দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি ঢাকা পোস্টকে জানান, ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

প্রসঙ্গত, মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল। 

বাদলের মিছিলটি চাপরাশিরহাট বাজারে গেলে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক অনুসারী মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে চাপরাশিরহাট বাজারে যান। একপর্যায়ে কাদের মির্জার সমর্থকেরা বাদলের বাড়িতে হামলা ও গুলি চালান।

এ সময় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাংবাদিক মুজাক্কির গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। মুজাক্কিরসহ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় মুজাক্কিরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর