প্রেমের টানে গত বছরের জুনে চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া গ্রামে আসেন জিইনাবচন নামে এক মার্কিন নারী। ওই গ্রামের মো. কামাল উদ্দিন প্রধানিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান জিইনাবচন।

এদিকে বিয়ের এক বছর পার হলেও যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেননি শাহাদাত হোসেন। কারণ, তার এখনো যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন শাহাদাত ও তার আত্মীয়স্বজন।

জানা যায়, শাহাদাত ও তার ছোট ভাই আবু জাফর দুবাই থাকা অবস্থায়  আবু জাফরের সঙ্গে মার্কিন তরুণী ফাতেমা মোহাম্মদ মুসার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর জাফরকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান ফাতেমা। পরে আবু জাফরের স্ত্রীর বান্ধবী জিইনাবচনের সঙ্গে পরিচয় হয় শাহাদাতের সঙ্গে। একসময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তারা বিয়ে করেন।

আরও পড়ুন : চাঁদপুরের শাহাদাতের প্রেমে ছুটে এলেন আমেরিকার মেয়ে

শাহাদাতের চাচাতো বোন সাবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের জুন মাসে মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেন শাহাদাত ভাই। বিয়ের ১৫ পর ভাবি তার দেশে ফিরে যান। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে না পেরে শাহাদাত ভাই হতাশায় আছেন। অন্যদিকে ভাবিও আমাদের দেশে আসতে চান। তিনি ওই দেশে শিক্ষকতা করছেন। যে কারণে আসতে পারছেন না। ভাবির সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তিনি আমাদের দেশ ও আমাদের মিস করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের সাড়ে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর আমরা বিয়ে করি। আমাদের সম্পর্ক এখনো ভালো আছে। জিইনাবচন তার কাছে আমাকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। করোনা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে আমেরিকায় যেতে পারছি না। ভিসা প্রসেসিং করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জিইনাবচনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আমার স্ত্রীও আমার কাছে আসতে চায়। কিন্তু সেখানে চাকরি করার সুবাদে সে আসতে পারছেন না। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।

এনএ