শরীয়তপুরে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। পরে পা ধরে মাপ চাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘেটে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক হলেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আকরাম এলাহী। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ইসলামের শরিয়ত অনুযায়ী বিচার করেছি।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডা. আকরাম এলাহীর কাছে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী। পা ধরে মাপ চাওয়ার পরই ওই রোগীকে কিল-ঘুষিসহ লাথি মারছেন তিনি। আর বলছেন, তোর সাহস তো কম না, তুই গায়ে হাত দেছ তার। মাপের গুষ্টি কিলাই।

অফিসার ডা. আকরাম এলাহী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নিয়মিতই রোগী দেখি আমার অফিসে। দরজায় আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে। কে কীভাবে ভেতরে আসবে, সে তা ঠিক করে। হঠাৎ এক রোগী আমার অ্যাসিস্ট্যান্টের গায়ে হাত দেয়। আমি দুজনকে ভেতরে এনে আরও রোগীর সামনে মীমাংসা করে দিই।

রোগীকে মারধর করা যায় কি না, এ বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার কোনো দোষ নেই। আমি ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী এর সমাধান করেছি।

চিকিৎসকের অ্যাসিন্ট্যান্ট আতাউর রহমান বলেন, আমি বাইরে দাঁড়িয়ে টোকেন দেখে দেখে রোগীদের ভেতরে ঢোকাচ্ছিলাম। হঠাৎ এক রোগী এসে আমার বুকে জোরে আঘাত করে। আমি এমনিতেই অসুস্থ মানুষ। আমি স্যারকে বিষয়টি বলি।

এ বিষয়ে রোগীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবহান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি এখনো পাইনি। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ