ঘন কুয়াশায় দেখা যায় না রাস্তা তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান

হিমালয় কন্যাখ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

এর আগে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়ে সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাস্তাঘাটে লোকজনের দেখামেলা ভার

এদিকে, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো শিশির ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পুরো জেলা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো দেখা গেলেও কমছে না শীতের দাপট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। সময়মতো কাজে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। গরম কাপড় না থাকায় শীত নিবারণের জন্য অনেকে বাড়ির আঙ্গিনায় খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় এই পর্যন্ত ২১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট  মন্ত্রণালয় থেকে। ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ৩০ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

শীত উপেক্ষা করে কর্মের সন্ধানে বাবা

বেসরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে প্রায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ গরীব, অসহায় ও শীতার্ত। প্রতি বছর জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের বাতাসের কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসপি