অবশেষে ‘বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) বিলুপ্ত হলো। শ্রেণি সংগ্রামের পরিবর্তে সমাজ পরিবর্তনের জন্য জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রত্যাশা নিয়ে দুটি দল একীভূত হয়েছে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐক্য কংগ্রেসের সমাপনী অধিবেশনে নতুন দলের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) খুলনার হাদিস পার্কে ঐক্য কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

কংগ্রেসে ইকবাল কবির জাহিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার, মোশাররফ হোসেন নান্নু, তুষার কান্তি দাস, নজরুল ইসলাম ফিরোজ, শামীম ইমাম ও নজরুল ইসলাম।

এছাড়া রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জাকির হোসেন হবি, নিমাই মন্ডল, মোফাজ্জল হোসেন মন্জু, নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, হারুন উর রশিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, তাসলিম উর রহমান, ইসরারুল হক, নাজিম উদ্দীন, গাজী আবদুল হামিদ, মোজাম্মেল হোসেন খান, রেবতী বর্মন, গাজী নওশের, শহিদুল ইসলামসহ ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবে বাম প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

অপর এক প্রস্তাবে শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ মিছিল ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের হামলায় যুবদল কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদ এবং ছাত্র নেতাসহ এশিয়া এনার্জি কর্তৃক দায়ের করা ফুলবাড়ি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নেতৃত্বের নামে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

মোহাম্মদ মিলন/এসএসএইচ