তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মোবাইল সাংবাদিকতার বিকল্প নেই
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, পাঠক এখন তাৎক্ষণিক খবর চায়। ঘটনাস্থল থেকে অফিসে গিয়ে নিউজ লিখে পাঠাতে গেলে অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই ঘটনাস্থল থেকেই তাৎক্ষণিক মোবাইলেই নিউজ, ছবি ও ভিডিও পাঠানোর ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দক্ষ হতে হবে। কেননা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমাদের টিকে থাকতে হলে মোবাইল সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। তাই তৃণমূল পর্যায়ে আমরা মোবাইল সাংবাদিকতাকে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পিআইবির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জাফর ওয়াজেদ বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলো এখন আর প্রিন্টে সীমাবদ্ধ নেই। দুইশো বছরের পত্রিকাও এখন অনলাইনে চলে গেছে। এখন প্রিন্ট, অনলাইন ও ভিজ্যুয়াল এই তিনটি মিলেই নিউ মিডিয়া চালু হয়ে গেছে। প্রযুক্তির যে ধারার বিকাশ ঘটছে তাতে সবাইকেই এতে সম্পৃক্ত হতে হবে।
পিআইবি দক্ষ সাংবাদিক গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে পেশাগত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে সরকারিভাবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। পিআইবি দেশের সবখানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সাংবাদিক গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণই হচ্ছে নিজেকে শাণিত করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আমার বিশ্বাস এই প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান বাস্তব কাজে সঠিকভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে সবাই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এ জেড এম ইমাম উদ্দিন মুক্তা, মো. নুরুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, পিআইবির সমন্বয়কারী জিলহাস উদ্দিন ও বারেক হোসেন, প্রেসক্লাব সাংবাদিক প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক মীর গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে দুটি ব্যাচে ময়মনসিংহ জেলার ৭০ জন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
উবায়দুল হক/আরএআর