খাবার জোগাতে মাছ কুড়ায় ছোট্ট সুমাইয়া

‘ঘরে খাওয়ার কিছু নাই। ঘরে ছোট ভাই-বোনেরা মাছ খাইতে চাইছে। তাই এখানে মাছ নিতে আইছি। এখান থেকে চিংড়ি মাছ নিলে মায়ে রান্না করবে। ভাই-বোনরাসহ আমরা খামু।’ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটার শুঁটকি পল্লীতে মাছ সংগ্রহের সময় এভাবেই কথাগুলো বলছিল ৮ বছর বয়সী সুমাইয়া।

জানা গেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকার বাসিন্দা মোটরসাইকেলের চালক সলেমান মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া। কুয়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে।

সুমাইয়া জানায়, ‌‘তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। আমি একা লেখাপড়া করি। টাকার অভাবে অন্য ভাই-বোনেরা লেখাপড়া করে না। সব সময় আব্বা বাজার করতে পারে না। ঘরে যে সময় রান্না করার কিছু থাকে না, তখন এখান (শুঁটকি পল্লী) থেকে মাছ নেই।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল কাইউম বলেন, কুয়াকাটা শুঁটকি পল্লীতে বছরে ছয় মাস কাজ হয়। এই ছয় মাস স্থানীয় গরিব ছেলে-মেয়েরা এসে বিভিন্ন সময় মাছ কুড়িয়ে নেয়। এতে তাদের পরিবারের উপকার হয়।
 
তিনি আরও বলেন, সবার মাছ খেতে ইচ্ছে হয়। টাকা নেই বলে ওরা মাছ খেতে পারবে না, এটা হয়? এখানের আড়ৎদাররা গরিবের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

আড়ৎদার ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‌‌‘শুঁটকি করার জন্য আমরা সমুদ্র থেকে বিভিন্ন মাছ ক্রয় করে নিয়ে আসি। সেখানে চিংড়ি মাছ থাকে। চিংড়ি মাছ আমাদের আড়তে শুঁটকি হয় না। ওরা চিংড়ি মাছ নিয়ে ওদের পরিবারের চাহিদা মেটায়।

এমএসআর