প্রতীকী

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলেসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে আমলি আদালত-২ দেবীগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং চেংঠী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় (৫২), তার ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (৩৫) এবং তাদের সহযোগী কানাই চন্দ্র সেন (৩০)। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় ও তার ছেলেসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর আমলি আদালত-২ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পিবিআই গত ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মঙ্গলবার মামলার ধার্য দিনে তিন আসামি আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

আদালতে মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াসিনুল হক দুলাল ও অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম রাস এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক রাসেল, আজিজার রহমান আজু ও নজরুল ইসলাম অংশ নেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই রাতে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধীভাতা ভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যানের কাছে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি) এর অধীনে ইউনিয়নের ডাডুয়া হাট সেট নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে  চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র  ও তার ছেলেসহ তার সহযোগীরা ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামকে মারধর করেন। 

একই সঙ্গে শহীদুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা গলা টিপে ধরেন এবং তাকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। 

আরএআর