বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, পটুয়াখালীতে উন্নতমানের ইন্ডাস্ট্রি হবে। বেপজার প্রস্তাবিত ইপিজেডের উৎপাদিত পণ্যসমূহ বিদেশে রপ্তানি হবে। আগামী বছর শুরু হচ্ছে বেপজার প্রস্তাবিত ইপিজেডের নির্মাণ কাজ। 
   
গতকাল বুধবার (৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তাবিত পটুয়াখালী ইপিজেড ও ইনভেস্টরস্ ক্লাবের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নিদির্ষ্ট মালিকের অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের হাতে টাকা দেয়া হবে না। যার কারণে দালালরা এগুতে পারবে না। কাগজ পত্র ঠিক থাকলে তিনদিনের  মধ্যে প্রকৃত মালিকদেরকে টাকা পরিশোধ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবেন না। কাগজপত্র তৈরি করুন। ইপিজেড নিয়ে কেউ কোনো প্রকার গুজব ছড়াবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান জনজীবন উন্নত হোক। ইপিজেড এলাকায় উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। 

পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শাহজাহান মিয়া এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিচালনা করছে বলে আজ উন্নয়নের সড়কে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে পটুয়াখালীতে ইপিজেড হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে পটুয়াখালী এখন আর খালী নেই, সব দিক থেকে ভরপুর।      

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. গোলাম সরোয়ার, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী প্রমুখ। 

এর আগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ইপিজেডের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা। পরে দুপুরে আউলিয়াপুর বেপজার প্রস্তাবিত পটুয়াখালী ইপিজেডের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন বেপজার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস