ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজুর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিমুল আহমেদ খান ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুলসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। খোকসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজু বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তারিকুলের ছোট ভাই আতিকসহ ১৫-২০ জন রাত ১০টার দিকে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির মহিলাদের গায়ে হাত তোলে এবং ভাঙচুর করে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাকে মাঠে নামতেই দিচ্ছে না প্রতিপক্ষ। বাধ্য হয়ে বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই থাকতে হয়। কোথাও গেলে প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পড়তে হয়। আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের পক্ষের ভোটার ও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারিকুলের সমর্থকরা আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন।  মাইকিংয়ে প্রচারণার সময়ও হামলা করা হয়েছে। শেষমেশ আমার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। 

নাফিজ আহমেদ খান রাজু আরও বলেন, আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম তারা হামলা করবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেও কোনো ফল মেলেনি। তারই বহিঃপ্রকাশ আমাদের বাড়িতে হামলা। এ ঘটনার পর থেকে আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। 

এ বিষয়ে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপিপন্থীরা তালবাহানা করছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এটা মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকর। রাজু আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।

খোকসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিএনপির প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে হামলার ঘটনায় শিমুল ও সিরাজুলসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

আরএআর