বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি আওয়ামী লীগ নেতা ও কৃষি উদ্যোক্তা দুরন্ত বিপ্লবের (৫১) বলে সনাক্ত করেছে নিহতের পরিবার। চিকিৎসকদের ধারণা তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত দুরন্ত বিপ্লব নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার ছোট ইলাশপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। দুরন্ত বিপ্লব আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে দুরন্ত বিপ্লবের কৃষি খামার রয়েছে। গত সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের আগে তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন ছিল কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায়।

নিহত দুরন্ত বিপ্লবের ছোট বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, আমার ভাইয়ের মতো মানুষের এমন করুণ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সে সবসময় চাইতো দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটুক, এ দেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেল।

মরদেহ উদ্ধার ও পরিচয় সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লার পাগলা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান আলী। তিনি জানান, শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে পাগলাঘাট এলাকা থেকে কচুরিপানার মধ্যে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে নিহতের স্বজনরা যোগাযোগ করেন। পরে রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জ এসে নিহত বিপ্লবের মরদেহ সনাক্ত করেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছি। তার মাথার পেছনে ও সামনে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথার অনেকটা জায়গায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার বুকের দুই পাশেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসব বিবেচনা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আবির শিকদার/এমজেইউ