ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভুল্লী এলাকায় ভুল্লী বাঁধে সেচ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক কালো ধান (ব্ল্যাক রাইস) চাষে চমক সৃষ্টি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সম্প্রসারণ দপ্তর।  মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভুল্লী বাঁধ এলাকায় খলিসাকুড়িতে এ নিয়ে আলোচনা সভার আয়েজন করা হয়।

পাউবোর উপ-সম্প্রসারণ দপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ব্ল্যাক রাইস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধানের একটি বিশেষ জাত। সাধারণভাবে প্রচলিত চালের তুলনায় ব্ল্যাক রাইসে অধিক পরিমাণে আঁশ, আয়রন, প্রোটিনসহ অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। অ্যান্থোসায়ানিন (Anthocyanin) নামক কালো রঙের একটি রঞ্জক পদার্থের আধিক্যের দরুন এই জাতের চালকে কালো দেখায়। 

প্রথমবারের মতো ভুল্লী সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০ শতাংশ জমিতে কালো ধান আবাদ করা হয়েছে। এতে ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫.২ টন ফলন হচ্ছে। এই ব্ল্যাক রাইস চাষে ভুল্লী বাঁধের মাধ্যমে ফ্রি সেচ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। 

ভুল্লী বাঁধের সভাপতি সরকার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান, পাউবো ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাউবো ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা ব্ল্যাক রাইস আবাদ করেছি। বাঁধের আওতায় থাকা কৃষকদের এই ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এবার ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকদের বাঁধের মাধ্যমে ফ্রি সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।  পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে কালো ধানের আবাদ বাড়ানো হবে। 

ঠাকুরগাঁও পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুখলেসুর রহমান বলেন, পাউবোর উপ-সম্প্রসারণ দপ্তরের আওতায় পরীক্ষামূলক ব্ল্যাক রাইস আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এর চাষাবাদ আগামীতে আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে কৃষকদের ফ্রি সেচ সুবিধার মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় করা হবে।

কালো ধান কর্তন শেষে সভায় ভুল্লী বাঁধের আওতায় থাকা কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সরিষার বীজ বিতরণ করা হয়। 

এম এ সামাদ/আরএআর